সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অন্ততপক্ষে পবিত্র রমজানে মানুষকে আমল থেকে দুরে না সরানোর অনুরোধ।



বিশ রাকাতেই রয়েছে আট।
পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ৩য় পর্ব।
صَلَاةُ التَّرَاوِيحِ : هِيَ قِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ بعد صلاة العشاء، مَثْنَى مَثْنَى ،
قال ابن قدامة: وقيام شهر رمضان عشرون ركعة، يعني: صلاة التراويح.

রমজান মাসের রাতে ইশার নামাযের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে তারাবীহের নামাজ বলা হয়।
التراويح : ترويحة، وهي المرة الواحدة من الراحة والاستراحة، وهي زوال المشقة والتعب، وروَّحت بالقوم ترويحاً: صليت بهم التراويح. وَالتَّرْوِيحَةُ فِي الْأَصْلِ اسْمٌ لِلْجِلْسَةِ مُطْلَقَةً. ثُمَّ سُمِّيَتْ كُلُّ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ من صلاة الليل في رمضان تَرْوِيحَةً مَجَازًا.

‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করতে হয় এবং দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয়। এ জন্য এই নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়।
লিসানুল আরব, লিখক:  আল্লামা ইবনে মনজুর।
তারাবিহের নামাজ সুন্নত হলেও রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। কারণ তারাবিহে রয়েছে  ক্ষমার ঘোষণা ও মুক্তির সুসংবাদ।
 বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ  رواه البخاري ٣٧ ، و مسلم ٧٥٩ . 
আবু হুরায়রা রাদি.থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ব‍্যক্তি ইমানের সঙ্গে পুণ্য লাভের  আশায় তারাবিহের নামায পড়ে তার জীবনের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করা হবে। বুখারি হাদিস নাম্বার ৩৭ মুসলিম হাদিস নাম্বার ৭৫৯
তারাবির নামাযের রাকাতের বিষয়ে বিভিন্ন সংখ্যা পাওয়া যায়।তবে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য, সর্বজন সমর্থিত হলো ২০ রাকাত। 
বিশ রাকাত সহকারে পড়তে হয় এই নামাজ। এটাই সুন্নাত পদ্ধতি। সাহাবায়ে কিরামের আমলও ছিলো তাই। আট রাকাত আদায়ের যে বর্ণনাগুলো হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়, তার সবই তাহাজ্জুদ নামাজের ব্যাপারে; তারাবিহ সম্পর্কে নয়। তারাবিহ নামায বিশ রাকাত হওয়া সংক্রান্ত বিশুদ্ধ অনেক বর্ণনা হাদিসের গ্রন্থসমূহে রয়েছে।

তারাবীবের রাকাত সংখ্যা ২০
 এক নং দলিল:
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ رضي الله عنه  ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ يصلي في ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭﺍﻟﻮﺗﺮ
হযরত আব্দুল্লাহ  ইবনে আব্বাস রাদি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়ি সাল্লাম রমজান মাসে বিশ রাকাত এবং বিতির পড়তেন।
 মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা - হাদিস নং- ৭৬৯২, মুসনাদে আব্দবিন হুমাইদ-২১৮, আল মুজামুল কাবীর, হাদিস নং-১২১০২, মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদিস নং-১৭২, সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস নং-৪৩৯১.

 দুই নং দলিল :
আমিরূল মূমিনিন হযরত ওমর রাদিআল্লাহু আনহুর আদেশঃ
ﻋﻦ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻥ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺍﻣﺮ ﺭﺟﻼ ﻳﺼﻠﻰ ﺑﻬﻢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ
হযরত ইয়াহইয়া বিন সাঈদ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় ওমর বিন খাত্তাব রাদি. এক ব্যক্তিকে বিশ ৩ পড়ার হুকুম দিলেন। 
মুসান্নাফে ইবনে আবীশাইবা-২/২৯৩

.তিন নং দলিল :
আমিরূল মূমিনিন হযরত ওমর রাদিআল্লাহু আনহুর শাসনামল

ﻭﺭﻭﻯ ﻣﺎﻟﻚ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺧﺼﻴﻔﺔ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﺎﺋﺐ ﺑﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ
হযরত সায়েব বলেনঃ হযরত ওমর রাদি.র সময়কালে বিশ রাকাত তারাবীহ ছিল।
 ফাতহুল বারি-৪/৪৩৬} যার সনদ বুখারিতে দুই স্থানে আছে।
চার নং দলিল: 
ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺭﻭﻣﺎﻥ ، ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ : ‏« ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻘﻮﻣﻮﻥ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻥ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺑﺜﻼﺙ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ »
হযরত ইয়াজিদ বিন রূমান বলেনঃ লোকেরা হযরত ওমর রাদি.র শাসনামলে বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির রমজান মাসে আদায় করতো। 
মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদিস নং-১৪৪৩, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৩৮০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদিস নং-৪৩৯৪
.
পাঁচ নং দলিল: 
ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻥ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺟﻤﻊ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻰ ﺑﻦ ﻛﻌﺐ ﻓﻜﺎﻥ ﻳﺼﻠﻰ ﺑﻬﻢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ
হযরত হাসান রাদি. থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রাদি. লোকদেরকে হযরত উবায় বিন কাব রাদি.র কাছে একত্র করে দিলেন। আর তিনি লোকদের বিশ রাকাত তারাবীহ পড়াতেন।
 সুনানে আবু দাউদ-১/২০২, সিয়ারু আলামিন নুবালা-১/৪০০
ছয় নং দলিল :
হাযরাত আলী রাদি.র শাসনামল
ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺴﻠﻤﻰ ﻋﻦ ﻋﻠﻰ ﻗﺎﻝ ﺩﻋﻰ ﺍﻟﻘﺮﺍﺀ ﻓﻰ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻓﺎﻣﺮ ﻣﻨﻬﻢ ﺭﺟﻼ ﻳﺼﻠﻰ ﺑﺎﻟﻨﺎﺱ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻗﺎﻝ ﻭﻛﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻳﻮﺗﺮ ﺑﻬﻢ
হযরত আবু আব্দুর রহমান সুলামী বলেনঃ হযরত  আলী রাদি. রমজান মাসে কারীদের ডাকতেন। তারপর তাদের মাঝে একজনকে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়াতে হুকুম দিতেন। আর বিতিরের জামাত হযরত আলি নিজেই পড়াতেন। 
{বায়হাকি-৪/৪৯৬}

 সাত নং দলিল: 
وجاء في وقت تشريع صلاة التراويح ما روي عن عائشة -رضي الله عنها- أنّها قالت: (أنَّ رَسولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلَّمَ صَلَّى في المَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَصَلَّى بصَلَاتِهِ نَاسٌ، ثُمَّ صَلَّى مِنَ القَابِلَةِ، فَكَثُرَ النَّاسُ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ، أَوِ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إليهِم رَسولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلَّمَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ، قالَ: قدْ رَأَيْتُ الذي صَنَعْتُمْ، فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الخُرُوجِ إلَيْكُمْ إلَّا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ علَيْكُم. قالَ: وَذلكَ في رَمَضَانَ.)؛[٤] فكان أوّ تشريعها في عهد النبي -صلى الله عليه وسلم-، وفي العام الرابع عشر من الهجرة وتحديداً في السنة الثانية من خلافة أمير المؤمنين عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- جُمع الناس في صلاة التراويح على إمام واحد.

 হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু  আনহা থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম দুই রাতে ২০ রাকআত নামায মানুষের সাথে আদায় করেন; কিন্তু  তিনি তৃতীয় রাতে আর বের হননি। তিনি বলেন, আমি আশংকা করি যে এটি তোমাদের  (সাহাবা-এ-কেরামের) প্রতি আবার বাধ্যতামূলক না হয়ে যায়। 

  ইবনে হাজর আসকালানি রহ. কৃত ‘আল-তালখীস আল-হাবীর’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৫৪০.
 এরকম প্রায় অর্ধশতক দলিল রয়েছে  উপরে ইতমেনানে কালবের জন্য কয়েকটি দলিল  উল্লেখ করেছি। আমি বিনয়ের সাথে আহলে হাদিস ভাইদের বলবো আপনারাও জানেন, বুখারির বর্ণনায় যে হাদিসটি এসেছে সেটি তারাবীহের হাদিস নয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮+৩ মোট ১১ রাকাত নামায পড়তেন রমজানে ও রমজানের বাহিরে অর্থাৎ সবসময়।
পবিত্র রমজান হলো রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস, নাজাতের মাস, পরকালের একাউন্টে ব‍্যাপকহারে সাওয়াব জমা করার মাস। তাই আসুন   মতভেদ ভুলে গিয়ে ২০ রাকাত তারাবীহ ধীরগতিতে পড়ে আখেরাতের একাউন্টকে আরো শক্তিশালী করি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করু।  আমিন 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ডাইনির খপ্পরে মুছির ছেলে ? মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

এক দেশে এক রাজা ছিলো, তার একটি কন্যা ছিলো। তার বিবাহের বয়স অনেক কিন্তু রাজকন্যার বিবাহ সে কারো সাথে দিতে চাইতোনা।কারন সে ভাবতো তার সমান কোনো রাজা নেই, এই পাগলামির কারনো সে বড় বড় অনেক রাজার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতো। হঠাৎ সে দেশে একদিন প্রচন্ড ঝড় তুফান শুরু হলো বাতাসের গতি এত তীব্র ছিলো যে রাজার সুরক্ষিত ঘরের চাদে এক নেংটি পরা মুচির ছেলেকে তুলে রেখে দিলো। ঝড় থামার পর সেই ছেলেকে দেখে সবাই অবাক!!!! এত সংরক্ষিত সিঁড়ি বিহীন চাঁদে তো কোন সাধারণ মানুষ সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়, রাজা সকল পন্ডিতদের ডেকে তার রহস্য উদ্ঘাটন করার আদেশ জারি করলেন। পন্ডিতরা অনেক চিন্তা গবেষণা করে উত্তর দিলো যে এটা এক গায়েবি মানুষ। রাজকন্যার সাথে বিবাহের জন্য তাকে আসমান থেকে পাঠানো হয়েছে। যখন দৃশমান এ জগতে কোনো যোগ্য পাত্র পাওয়া যায়নি তাই তাকে গায়েবি জগৎ থেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘোষণা রাজার পছন্দ হয়েছে, তখন রাজা হুকুম দিলেন তাকে গরম পানিতে চন্দনের পানি দিয়ে গোসল করাও, যখন গোসল করানোর জন্য সবাই ধরলো তখন সে চিৎকার দিতে লাগলো। রাজা পন্ডিতদের জিজ্ঞেস করলো চিৎকার করতেছে কেন, তাঁরা বললো সে আলমে গায়বের মানুষ এখনো আমাদের এ জগতের স

রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন ততই উপকার।- মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

বর্তামানে বিশেষ করে তরুণ তরুণী যুবক যুবতীরা যে সমস্ত সমস্যায় জর্জরিত এবং রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সু-পরামর্শ। বর্তমানে চিকিৎসকগণ দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অনেক উপকারিতা বর্ণনা করেছেন ----------- (এক) রোগ প্রতিরোধ : তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ভালো থাকবে। ফলে শরীরের রোগব্যাধি প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। (দুই)ওজন নিয়ন্ত্রণ : পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। (তিন) উদ্যম : তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া মানুষকে কাজে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে সহায়তা করে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পর দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য যখন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা যাবে, তখন তত বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ হবে। এতে দিনে সহজে ক্লান্তিবোধ হবে না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যথাসম্ভব মাঝরাতের আগে ঘুমাতে যেতে হবে। (চার) মনের প্রফুল্লতা : যারা তাড়াতা

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানরা (৩) ইব্রাহীম আজিজি

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানারা! তোমরা যেভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, তাবলীগ, পীর, মুরিদি,রাজপথ সহ ইত্যাদি জায়গা গুলোতে তোমাদের অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক তেমনি বর্তমান ইন্টারনেট জগতে চাই তোমাদের অগ্রনি ভুমিকা, কিন্তু অন্য সাধারন আট দশজনের মত নেট জগতে ডুকে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিলে চলবে না, নিজের শান মান ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি নিজের বা বন্ধু বান্ধবের ছবি পোস্ট করলে চলবেনা, নিজের হাসি তামাশা বা অযথা সময় পার করার জন্য তুমি fb ব্যবহার করবেনা, সাথে সাথে বেহায়াপনা, নোংরামি গান নাচ ইত্যাদি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার থেকে বেচে থাকাটাই তোমার ঈমানি পরীক্ষা। তাছাড়া যখনই তুমি fb তে ডুকবে তখনই দেখবে একটা দল তোমার ইতিহাস তোমার ঐতিহ্য নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতেছ, তোমার প্রানপ্রিয় উস্তাদদের নিয়ে বেঙ বিদ্রুপে মগ্ন, তোমার সেরে তাজ যাদের তুমি আকাবের মনে করো, যাদের তুমি তোমার চলার পথের পাথেয় মনে করো, যাদের জীবন কাহীনি অধ্যায়ন করে তুমি রাতকে রাত অতিবাহিত করো,যাদের জিবন থেকে তোমার সামনের পথ চলার দীক্ষা নিয়েছো, যাদের ইলেম থেকে নিজের ইলেমের প্রান সঞ্চার করেছো,যাদের ইলেম থেকে পুরো জাতিই উপকৃত হয়েছে, আজ কিছ