বর্তামানে বিশেষ করে তরুণ তরুণী যুবক যুবতীরা যে সমস্ত সমস্যায় জর্জরিত এবং রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সু-পরামর্শ।
বর্তমানে চিকিৎসকগণ দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অনেক উপকারিতা বর্ণনা করেছেন
-----------
(এক) রোগ প্রতিরোধ : তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ভালো থাকবে। ফলে শরীরের রোগব্যাধি প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।
(দুই)ওজন নিয়ন্ত্রণ : পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
(তিন) উদ্যম : তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া মানুষকে কাজে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে সহায়তা করে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পর দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য যখন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা যাবে, তখন তত বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ হবে। এতে দিনে সহজে ক্লান্তিবোধ হবে না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যথাসম্ভব মাঝরাতের আগে ঘুমাতে যেতে হবে।
(চার) মনের প্রফুল্লতা : যারা তাড়াতাড়ি ঘুমায় এবং ওঠে তাদের মন ভালো থাকে। এর কারণ, যারা তাড়াতাড়ি ঘুমায় তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় এবং তার ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের মন ভালো থাকে।
(পাঁচ) সৌন্দর্য : দেহের সৌন্দর্যের সঙ্গে ঘুমের অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। তাড়াতাড়ি ঘুমালে তা ত্বকের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেবে।
রাতে ভালো ঘুম না হলে মানুষের মুখে বলিরেখা পড়ে। এ কারণে অনেক তরুণ-তরুণীকেও কয়েক বছর বেশি বয়সী বলে মনে হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে বিষয়টি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন