সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কেমন ছিলো -ঃ মাও. ইব্রাহীম আজিজি



খৃষ্টানরা মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য যে সকল শাখাগত মাসআলা উত্থাপন করেছিলো।
তা বুঝানোর জন্য একটা মাসআলা পেশ করেছি।

কথিত আছে যে, একটি সু পরিকল্পিত মিশন নিয়ে একজন খৃষ্টান পাদ্রী এক মাওলানা সাহেবের কাছে উপস্থিত হয়ে হাদিয়া সরুপ তাকে কিছু আশ্রাফি দিলো তারপর সে মাওলানা সাহেবের গভীর ইলেম ও দ্বীনি খেদমতের তারিফ করলো।

তারপর সে বললো হযরত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য আপনার কাছে এসেছি, আজ পর্যন্ত কোনো আলেম এর সমাধান দিতে পারেনি, আমি মনে করি আপনিই এর সমাধান দিতে পারবেন।
মাসআলাটি হলো, আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কি ছিলো?
একটু আগে মাওলানা সাহেবের গভীর জ্ঞানের সীমাহীন প্রসংসা করা হয়েছে এবং সে আস্রাফি ভর্তি থলে ও পেয়েছে, এখন মৌলবি সাহেব কি ভাবে উত্তর না দিয়ে থাকতে পারেন।?
তিনি অনুমান করে জবাব দিলেন, আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ সাদা ছিলো।
খৃষ্টান পাদ্রী তখন তাকে খুব বাহবা দিয়ে বললো হযরত আপনি তো এরকম একটি মাসআলার সমাধান দিয়েছেন যা আজ পযর্ন্ত বহু বড় বড় আলেম ও দিতে পারেনি।
সে আবার আরজ করালো হযরত বহু মানুষ এ মাসআলা সম্পর্কে জানে না আর এ না জানা অবস্থায় তারা দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে যাচ্ছে অনুগ্রহ করে আগামী জুমায় যদি এ মাসআলাটি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিতেন তাহলে ভালো হতো।
মাওলানা সাহেব তৎক্ষনাৎ ওয়াদা করে বললেন আমার কাজই তো হলো সত্যের বানী প্রচার করা।

তারপর সে পাদ্রী আরেকজন প্রসিদ্ধ আলেমের কাছে গেলো।
তাকে ও হাদিয়া দিলো এবং তার ইলেম ও দ্বীনি খেদমতের যারপরনাই প্রসংসা করলো।
তারপর তাকে ও বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলো
হযরত আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কি রকম ছিলো?
তখন তিনি অনুমান করে বলেছিলেন যে, তার রঙ কালো ছিলো।
খৃষ্টান পাদ্রী তাকেও আদবের ভঙ্গিতে বললো হযরত আগামী জুমায় এই গুরুত্বপূর্ণ মাসালাটি স্পষ্ট করে বর্ণনা করে দিবেন যেন এ মাসালা সম্পর্কে অজ্ঞ লোকেরা জেনে নিতে পারে।
মৌলবি সাহেব তাকে বললো জনাব আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন,
জুমার খুতবায় আমি তা সবার নিকট স্পষ্ট করে বলে দিবো।
তখন উভয় আলেম জুমার খুতবায় এই অপ্রয়জনিয় মাসালাটি নিজেদের মনগড়া দলিল প্রমানের মাধ্যমে বর্ণনা করলেন।
জুমার নামাজের পর উভয় আলেমের অনুসারীরা যখন একটি চৌরাস্তার মোড়ে জমায়েত হলো।
তখন একজনের অনুসারী বললো যে, আমাদের হযরত আজকে এমন এক মাসালার সমাধান দিয়েছেন যে শত শত বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত কোনো আলেম সমাধান দিতে পারেনি, হুজুর বলেছেন আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কালো ছিলো।
দ্বিতীয় আলেমের অনুসারীরা বললো না আপনার মতামত সঠিক নয়, তার রঙ তো সাদা ছিলো।
এ কথাটি এভাবে পুরো শহরে প্রচার হয়ে গেলো, এবং তা নিয়ে তর্কবির্তক ও মুনাজারা হতে লাগলো।
দুই দলই এক অপরের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিতে লাগলো,
এক পক্ষ বললো যে ব্যাক্তি আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কালো বলবে তার পিছনে নামাজ সহিহ হবে না।
আরেক দলের পক্ষ থেকে জবাব আসলো, যে ব্যাক্তি সেই কুকুরকে সাদা বলবে তার পিছনে নামাজ হবে না।
*****
বর্তমানে আমাদের সমাজে ও ঠিক এধরণের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের সকল হক্কানি ওলামাদের চরণে হাত রেখে বলতে চাই ইসলাম ও মুসলমানদের এই দুর্দিনে সকলেই একি প্লাটফর্মে আসার চেষ্টা করুন সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কেয়ামত পর্যন্ত ও বাতিলের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ডাইনির খপ্পরে মুছির ছেলে ? মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

এক দেশে এক রাজা ছিলো, তার একটি কন্যা ছিলো। তার বিবাহের বয়স অনেক কিন্তু রাজকন্যার বিবাহ সে কারো সাথে দিতে চাইতোনা।কারন সে ভাবতো তার সমান কোনো রাজা নেই, এই পাগলামির কারনো সে বড় বড় অনেক রাজার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতো। হঠাৎ সে দেশে একদিন প্রচন্ড ঝড় তুফান শুরু হলো বাতাসের গতি এত তীব্র ছিলো যে রাজার সুরক্ষিত ঘরের চাদে এক নেংটি পরা মুচির ছেলেকে তুলে রেখে দিলো। ঝড় থামার পর সেই ছেলেকে দেখে সবাই অবাক!!!! এত সংরক্ষিত সিঁড়ি বিহীন চাঁদে তো কোন সাধারণ মানুষ সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়, রাজা সকল পন্ডিতদের ডেকে তার রহস্য উদ্ঘাটন করার আদেশ জারি করলেন। পন্ডিতরা অনেক চিন্তা গবেষণা করে উত্তর দিলো যে এটা এক গায়েবি মানুষ। রাজকন্যার সাথে বিবাহের জন্য তাকে আসমান থেকে পাঠানো হয়েছে। যখন দৃশমান এ জগতে কোনো যোগ্য পাত্র পাওয়া যায়নি তাই তাকে গায়েবি জগৎ থেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘোষণা রাজার পছন্দ হয়েছে, তখন রাজা হুকুম দিলেন তাকে গরম পানিতে চন্দনের পানি দিয়ে গোসল করাও, যখন গোসল করানোর জন্য সবাই ধরলো তখন সে চিৎকার দিতে লাগলো। রাজা পন্ডিতদের জিজ্ঞেস করলো চিৎকার করতেছে কেন, তাঁরা বললো সে আলমে গায়বের মানুষ এখনো আমাদের এ জগতের স

রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন ততই উপকার।- মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

বর্তামানে বিশেষ করে তরুণ তরুণী যুবক যুবতীরা যে সমস্ত সমস্যায় জর্জরিত এবং রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সু-পরামর্শ। বর্তমানে চিকিৎসকগণ দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অনেক উপকারিতা বর্ণনা করেছেন ----------- (এক) রোগ প্রতিরোধ : তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ভালো থাকবে। ফলে শরীরের রোগব্যাধি প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। (দুই)ওজন নিয়ন্ত্রণ : পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। (তিন) উদ্যম : তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া মানুষকে কাজে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে সহায়তা করে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পর দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য যখন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা যাবে, তখন তত বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ হবে। এতে দিনে সহজে ক্লান্তিবোধ হবে না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যথাসম্ভব মাঝরাতের আগে ঘুমাতে যেতে হবে। (চার) মনের প্রফুল্লতা : যারা তাড়াতা

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানরা (৩) ইব্রাহীম আজিজি

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানারা! তোমরা যেভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, তাবলীগ, পীর, মুরিদি,রাজপথ সহ ইত্যাদি জায়গা গুলোতে তোমাদের অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক তেমনি বর্তমান ইন্টারনেট জগতে চাই তোমাদের অগ্রনি ভুমিকা, কিন্তু অন্য সাধারন আট দশজনের মত নেট জগতে ডুকে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিলে চলবে না, নিজের শান মান ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি নিজের বা বন্ধু বান্ধবের ছবি পোস্ট করলে চলবেনা, নিজের হাসি তামাশা বা অযথা সময় পার করার জন্য তুমি fb ব্যবহার করবেনা, সাথে সাথে বেহায়াপনা, নোংরামি গান নাচ ইত্যাদি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার থেকে বেচে থাকাটাই তোমার ঈমানি পরীক্ষা। তাছাড়া যখনই তুমি fb তে ডুকবে তখনই দেখবে একটা দল তোমার ইতিহাস তোমার ঐতিহ্য নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতেছ, তোমার প্রানপ্রিয় উস্তাদদের নিয়ে বেঙ বিদ্রুপে মগ্ন, তোমার সেরে তাজ যাদের তুমি আকাবের মনে করো, যাদের তুমি তোমার চলার পথের পাথেয় মনে করো, যাদের জীবন কাহীনি অধ্যায়ন করে তুমি রাতকে রাত অতিবাহিত করো,যাদের জিবন থেকে তোমার সামনের পথ চলার দীক্ষা নিয়েছো, যাদের ইলেম থেকে নিজের ইলেমের প্রান সঞ্চার করেছো,যাদের ইলেম থেকে পুরো জাতিই উপকৃত হয়েছে, আজ কিছ