হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানারা!
তোমরা যেভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, তাবলীগ, পীর, মুরিদি,রাজপথ সহ ইত্যাদি জায়গা গুলোতে তোমাদের অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক তেমনি বর্তমান ইন্টারনেট জগতে চাই তোমাদের অগ্রনি ভুমিকা, কিন্তু অন্য সাধারন আট দশজনের মত নেট জগতে ডুকে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিলে চলবে না,
নিজের শান মান ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি নিজের বা বন্ধু বান্ধবের ছবি পোস্ট করলে চলবেনা, নিজের হাসি তামাশা বা অযথা সময় পার করার জন্য তুমি fb ব্যবহার করবেনা,
সাথে সাথে বেহায়াপনা, নোংরামি গান নাচ ইত্যাদি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার থেকে বেচে থাকাটাই তোমার ঈমানি পরীক্ষা।
তাছাড়া যখনই তুমি fb তে ডুকবে তখনই দেখবে
একটা দল তোমার ইতিহাস তোমার ঐতিহ্য নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতেছ, তোমার প্রানপ্রিয় উস্তাদদের নিয়ে বেঙ বিদ্রুপে মগ্ন, তোমার সেরে তাজ যাদের তুমি আকাবের মনে করো, যাদের তুমি তোমার চলার পথের পাথেয় মনে করো,
যাদের জীবন কাহীনি অধ্যায়ন করে তুমি রাতকে রাত অতিবাহিত করো,যাদের জিবন থেকে তোমার সামনের পথ চলার দীক্ষা নিয়েছো,
যাদের ইলেম থেকে নিজের ইলেমের প্রান সঞ্চার করেছো,যাদের ইলেম থেকে পুরো জাতিই উপকৃত হয়েছে, আজ কিছু গাদ্দার কিছু মূর্খরা, কিছু কলেজ ভার্সিটির নব্য জাহেলরা তাঁদের নামে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে।
তাদের আমল নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা করেছে,
প্রিয় বন্ধু শুধু এখানেই শেষ নয়,
আরও দেখবে কিছু নাস্তিক মুরতাদ তোমার জীবনের চাইতে ও প্রিয় নবীকে নিয়ে তারা কটুক্তি করতে দ্বীধা করছে না,
ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে, ইসলামের রীতিনীতি ও ইসলামি সাংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা সুকৌশলে তার স্বপক্ষে তাঁরা বিভিন্ন খোড়া যুক্তি ও দিতেছে,
যাঁর দরুন কিছু কিছু সরলমনা মুসলিম যুবক তাদের ফাতা ফাঁদে পড়ে নিজের ঈমান ও ইসলাম বিসর্জন দিচ্ছে,
আর এ-ই সব বাতিলের মুখোশ উন্মোচন করে ও তাদের দাঁত ভাংগা জাওয়াব দিয়ে
ইসলামের সৌন্দর্য তাদের সামনে তুলে ধরতে একঝাঁক ঐক্যবদ্ধ তরুণ দরকার,
সেই সাথে কাওমী উলামায়ে কেরাম ও কাওমী ছাত্রদের জ্ঞান গরিমা এবং ইলমের গভীরতা কতটুকু তা পুরো বিশ্ববাসির সামনে তুলে ধরতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন