আরে নিন্দুকেরা শুনে রাখো।
কাওমি মাদ্রাসার একজন ছাত্র সে শুরু থেকেই জানে, সে যে লাইনে পড়াশোনা করার জন্য ভর্তি হয়েছে,
এই সিলেবাসের পড়া পড়লে সে কোনো ভালো বেতনের চাকরি পাবেনা, সরকারি কোন কাজে এপ্লাই করা তো দুরে থাক বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে ও তার জায়গা হবে না,
তার অবিভাবকের ও ভালো করেই জানা আছে।
সাথে এ-ও জানা আছে যে তাকে এই সিলেবাস পড়তে হলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে,
কোরবানির সময় জন্তুটার চামড়া তার মাথায় উঠবেই,
কিছু মানুষের রুপি অমানুষের তিরস্কার এবং অপবাদ তাকে সহ্য করতে হবে।
বড় হয়ে তাকে পাঁচ হাজার টাকার বেতনে মসজিদের মাদ্রাসার খেদমত করতে হবে,
যাদের মা বাবার বিয়ে টা পড়িয়েছো শরিয়ত মত,
১০ মাসের পর তাদের সন্তান জন্মের পর যার কানে আজান টা সহীহ ভাবে তাকেই দিতে হবে, ৪ বছর পর সেই ছেলেকে মক্তবে তাকেই সহীহ কোরআন শিখাতে হবে, তার শেষ বিদায় মৃত্যুর পর শেষ গোসল ও কাপন থেকে নিয়ে দাপন পর্যন্ত তাকেই করতে হবে,
শুধু এখানেই শেষ নয় কয়দিন পরপর কবরের সামনে গিয়ে তাকেই সুরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে।
এগুলো করার জন্য অন্য কোনো শিক্ষিতরা আসবেনা।
আজকে যারা ফেসবুকে কাওমীদের বিরুদ্ধে গলা পাটিয়ে চিৎকার করে তারাও নয়।
ঠিক সেই ছেলেটাই খুশি হবে তোমাকে যখন কোনো গাদ্দার কোনো নাস্তিক কোনো ইসলাম বিদ্ধেষি কোনো আলেম বিদ্ধেষি হেয়োপতিপন্ন ও কটাক্ষ করে কথা বলবে তিরস্কার করবে।
ইলিয়াস হোসেনের মতো পলাতক আসামিরা তোমাকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে।
ঠিক সেই ছেলেটাই তোমার বিরুদ্ধে fbতে আপলোড দিবে।
তারপর ও সে কাওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে!!
কিন্তু কেন??????
ঐ ছাত্র এবং তার অবিভাবক জানে যে অন্য প্রতিষ্টানে পড়লে দুনিয়ায় চলাচলের মতো সব পাওয়া যেতে পারে,
পাওয়া যেতে পারে লাখ টাকা ঘুষ খাওয়ার মত সুযোগ, আরো পাওয়া যেতে পারে রাজনিতির নামে সন্ত্রাসী হয়ে মানুষকে গুম খুন হত্যা করে রাতারাতি এমপি বা মন্ত্রী,ইত্যাদি।
কিন্তু শুধু পাওয়া যাবেনা কোরআন হাদীসের বিশুদ্ধ জ্ঞান, পাওয়া যাবেনা নবীজির সুন্নতের অনুসরণীয় শান্তির জীবন, পাওয়া যাবেনা পরকালের বিশুদ্ধ আক্বিদা বিশ্বাস। পাওয়া যাবেনা আখেরাতের চিরন্তন শান্তির জায়গা জান্নাতের সঠিক ঠিকানা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন