সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানরা (৩) ইব্রাহীম আজিজি

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানারা! তোমরা যেভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, তাবলীগ, পীর, মুরিদি,রাজপথ সহ ইত্যাদি জায়গা গুলোতে তোমাদের অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক তেমনি বর্তমান ইন্টারনেট জগতে চাই তোমাদের অগ্রনি ভুমিকা, কিন্তু অন্য সাধারন আট দশজনের মত নেট জগতে ডুকে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিলে চলবে না, নিজের শান মান ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি নিজের বা বন্ধু বান্ধবের ছবি পোস্ট করলে চলবেনা, নিজের হাসি তামাশা বা অযথা সময় পার করার জন্য তুমি fb ব্যবহার করবেনা, সাথে সাথে বেহায়াপনা, নোংরামি গান নাচ ইত্যাদি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার থেকে বেচে থাকাটাই তোমার ঈমানি পরীক্ষা। তাছাড়া যখনই তুমি fb তে ডুকবে তখনই দেখবে একটা দল তোমার ইতিহাস তোমার ঐতিহ্য নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতেছ, তোমার প্রানপ্রিয় উস্তাদদের নিয়ে বেঙ বিদ্রুপে মগ্ন, তোমার সেরে তাজ যাদের তুমি আকাবের মনে করো, যাদের তুমি তোমার চলার পথের পাথেয় মনে করো, যাদের জীবন কাহীনি অধ্যায়ন করে তুমি রাতকে রাত অতিবাহিত করো,যাদের জিবন থেকে তোমার সামনের পথ চলার দীক্ষা নিয়েছো, যাদের ইলেম থেকে নিজের ইলেমের প্রান সঞ্চার করেছো,যাদের ইলেম থেকে পুরো জাতিই উপকৃত হয়েছে, আজ কিছ

কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানরা।(২) ইব্রাহিম আজিজি

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানরা এখনো জাতি তোমাদের থেকে কিছু পাওয়ার আশায় আছে, তোমাদের অবদান জাতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না এ জাতি তোমাদের ঋন কোনদিন শোধ করতে পারবে না। কারণ এ জাতির সাথে তোমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হবার নয় এবার আসি মূল কথায় বর্তমান পৃথিবী ইন্টারনেটের যোগ এই ইন্টারনেট ছাড়া মানুষ এখন চলা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, মানুষের এমন কোনো দিক নেই যা মানুষ ইন্টারনেট থেকে উপকৃত হচ্ছে না। ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল সহ অনেক ব্রাউজার ব্যাবহার করছে মানুষ। তোমাদের খেদমত মসজিদ মাদ্রাসা মক্তব এবং মানুষের রুহের খোরাক অবশ্যই যোগাচ্ছে। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারের যোগে মানুষ অধিকাংশ নিজের কাজের ব্যস্ততায় সময় পার করেছে, নেট জগতে, কিন্তু তাই বলে কি তারা সঠিক ইসলামের দাওয়াত থেকে মাহরুম হবে?? কারণ বর্তমান পৃথিবীতে ১১১ মিলিয়নের বেশি মানুষ গুগল ব্যাবহার করে, এবং প্রায় ১৮৬ কোটির ও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এই মানুষ গুলোর অধিকাংশই গুগল বিশ্বাসি অর্থাত তারা যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য গুগলের সহায়তা নেয়। কিন্তু আপসোসের বিষয় হলো সেখানে হক পন্থীদের ইসলামের খেদমত একেবারে নগন্য বললেই চলে, যার কারণে অধিকাংশ জেনারেল শিক

কাওমি ছাত্রদের গোপন তথ্য ফাঁস

আরে নিন্দুকেরা শুনে রাখো। কাওমি মাদ্রাসার একজন ছাত্র সে শুরু থেকেই জানে, সে যে লাইনে পড়াশোনা করার জন্য ভর্তি হয়েছে, এই সিলেবাসের পড়া পড়লে সে কোনো ভালো বেতনের চাকরি পাবেনা, সরকারি কোন কাজে এপ্লাই করা তো দুরে থাক বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে ও তার জায়গা হবে না,  তার অবিভাবকের ও ভালো করেই জানা আছে। সাথে এ-ও জানা আছে যে তাকে এই সিলেবাস পড়তে হলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে, কোরবানির সময় জন্তুটার চামড়া তার মাথায় উঠবেই, কিছু মানুষের রুপি অমানুষের তিরস্কার এবং অপবাদ তাকে সহ্য করতে হবে। বড় হয়ে তাকে পাঁচ হাজার টাকার বেতনে মসজিদের মাদ্রাসার খেদমত করতে হবে, যাদের মা বাবার বিয়ে টা পড়িয়েছো শরিয়ত মত, ১০ মাসের পর তাদের সন্তান জন্মের পর যার কানে আজান টা সহীহ ভাবে তাকেই দিতে হবে, ৪ বছর পর সেই ছেলেকে মক্তবে তাকেই সহীহ কোরআন শিখাতে হবে, তার শেষ বিদায় মৃত্যুর পর শেষ গোসল ও কাপন থেকে নিয়ে দাপন পর্যন্ত তাকেই করতে হবে, শুধু এখানেই শেষ নয় কয়দিন পরপর কবরের সামনে গিয়ে তাকেই সুরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে। এগুলো করার জন্য অন্য কোনো শিক্ষিতরা আসবেনা। আজকে যারা ফেসবুকে কাওমীদের বিরুদ্ধে গলা পাটিয়ে চ

রোজা না রাখার ভয়াবহ পরিনতি -। মাও. ইব্রাহীম আজিজি

রোজা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ করা হয়েছে। এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তার নিজ হাতেই দিবেন । তবে রমজান মাসে যারা এই ফরজ এবাদাত আদায় করা থেকে দূরে থাকবেন তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি। এই মাস মূলত গুনাহ থেকে মুসলমানদের দূরে রাখার মাস। এ মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার মাস। মাহে রমজানে নেক আমলের ফজিলত যেমন বেশি, তেমনি এ মাসে গুনাহ করলে এর শাস্তি অনেক বেশি। বিশেষ করে ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখলে যে কঠিন শাস্তির হুকুম এসেছে, সেই ব্যক্তি ইহকালে তা না পেলেও পরকালে তার শাস্তি হবে অত্যন্ত কঠিন ও ভয়ংকর। এ ব্যাপারে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, একটি সম্প্রদায় উল্টোভাবে ঝুলছে। তাদের গলাটি ফাড়া এবং তা থেকে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এরা কারা? বলা হল, এরা ঐসব ব্যক্তি যারা বিনা উযরে রমজান মাসের সিয়াম ভঙ্গ করেছিল।’ (সহীহ ইবনে খুযাইমাহ) অতএব যারা রমযান পেলো কিন্তু তারপরও গ্রহণ করতে পারল না তার চেয়ে আর হতভাগা কেউ নেই। হযরত আবু উমামা রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলে

অবশেষে উম্মুক্ত হলো মসজি।

শর্তসাপেক্ষে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে)। আজকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার জোহর থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হল- দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে জারি করা হবে।

করোনা থেকে বাঁচতে হলে। মাও. ইব্রাহিম আজিজি।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম মুক্তির ধর্ম। মানবজীবনের সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে বলেই এই জীবনব্যবস্থা সব যুগের সকল মানুষের জন্য উপযোগী। সম্প্রতি চীন থেকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত ভাইরাস ‘করোনা’। যে ভাইরাসের সাথে কিছুদিন আগেও মানুষ পরিচিত ছিলো না আল্লাহ তায়ালা বলেন মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলভাগে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান যাতে তারা ফিরে আসে ( সুরা রুম আয়াত ৪১)  ব্যাপক হারে মানুষ আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হলে আল্লাহ পাক পৃথিবীতে গজব নাজিল করেন; যাতে মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাওবার মাধ্যমে আবার ফিরে আসতে পারে। এই গজব বা মহামারি আসলে তখন করণীয় কী? ইসলামে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। যে কোন মহামারি থেকে বাঁচতে প্রথম ও প্রধান করণীয় হচ্ছে- নিজেদের কৃতকর্ম থেকে তাওবা করা এবং বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। এই মুহূর্তে আমাদের সবার উচিত, মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকা। সর্বদা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। এবং সাস্থবিধি মেনে চলা।  মহামারি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটি আল্লাহর গজব বা শাস্তি, বনি ইসরাঈলে

রোজার বৈজ্ঞানিক উপকার

রোজার ধর্মীয় গুরুত্ব উপলব্ধি করার পরও শরীর খারাপ করবে বা রোজা রাখার শারীরিক সামর্থ্য নেই। এই অজুহাতে অনেকে রোজা রাখেন না।  কিন্তু রোজার ফজিলতের বিষয়ে কোরআন-হাদিসে অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। শারীরিক উপকারিতা বিষয়ে ব্যাখ্যা রয়েছে বিশ্বখ্যাত চিকিৎসকদের। এখানে কয়েকটি বিশ্লেষণ করা হলো।   ১. আপনি সহজে বুড়ো হবেন না : আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এজিংয়ের নিউরো সায়েন্স ল্যাবরেটরির প্রধান ড. মার্ক পি ম্যাটসন ও তার সহকর্মীরা দেখান যে, নিয়মিত ডায়েটিং করলে একজন মানুষের দেহে যে প্রভাবগুলো পড়ে,  রোজা বা উপবাসও সেই একই প্রভাব ফেলে। ইঁদুরের ওপর এবং পরে মানুষের ওপর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা একদিন পরপর উপবাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি তারা পরিচালনা করেন। তারা বলেন, উপবাসের ফলে দেহে এমন কিছু প্রোটিন উৎসারিত হয় যেটা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিডেশনজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্নায়ুকোষের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে বয়সজনিত রোগ যেমন, অ্যালঝেইমার, হান্টিংটন বা পার্কিনসন্সের ঝুঁকি অনেকখানি কমে যায়। গবেষণায় তারা দেখেন, কয়েক ঘণ্টা পরপর নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ রক্তে শর্করার মান সবসময় উঁচু রাখে। শক্তি উৎপাদনের জন্য এই শর্করাকে বিপ

অন্ততপক্ষে পবিত্র রমজানে মানুষকে আমল থেকে দুরে না সরানোর অনুরোধ।

বিশ রাকাতেই রয়েছে আট। পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ৩য় পর্ব। صَلَاةُ التَّرَاوِيحِ : هِيَ قِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ بعد صلاة العشاء، مَثْنَى مَثْنَى ، قال ابن قدامة: وقيام شهر رمضان عشرون ركعة، يعني: صلاة التراويح. রমজান মাসের রাতে ইশার নামাযের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে তারাবীহের নামাজ বলা হয়। التراويح : ترويحة، وهي المرة الواحدة من الراحة والاستراحة، وهي زوال المشقة والتعب، وروَّحت بالقوم ترويحاً: صليت بهم التراويح. وَالتَّرْوِيحَةُ فِي الْأَصْلِ اسْمٌ لِلْجِلْسَةِ مُطْلَقَةً. ثُمَّ سُمِّيَتْ كُلُّ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ من صلاة الليل في رمضان تَرْوِيحَةً مَجَازًا. ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করতে হয় এবং দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয়। এ জন্য এই নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়। লিসানুল আরব, লিখক:  আল্লামা ইবনে মনজুর। তারাবিহের নামাজ সুন্নত হলেও রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।