সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফেরেস্তা গ্রামের লোকটাকে কি বললো ?? মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

এক ব্যাক্তি নিজের গ্রাম থেক অন্য গ্রামে গিয়েছিলো। শুধু মাত্র নিজের বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য। আল্লাহ তায়ালা তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেস্তা নিযুক্ত করে দেন, ঐ ব্যাক্তি যখন নিজের বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরতেছিলো হঠাৎ রাস্তার মাঝে এক ব্যাক্তির সাথে দেখা! সে অপরিচিত ব্যাক্তিটি জিজ্ঞেস করলো তুমি কোথায় গিয়েছিলে? এই ব্যাক্তি উত্তরে বললো আমি অমুক গ্রামে গিয়েছি আমার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য । অপরিচিত ব্যক্তিটি জিজ্ঞেস করলো কেন তোমার উপর তার কি কোনো এহসান দয়া আছে নাকি যার দরুন তুমি সাক্ষাৎ করতে গেলে ? এই ব্যাক্তি বললো না কোনো এহসান বা দয়া নাই একমাত্র শুধু আল্লাহর জন্য তাকে ভালো বাসি এজন্য তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি তখন অপরিচিত ব্যক্তিটি বললো আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেস্তা তোমার জন্য এই সুসংবাদ নিয়ে এসেছি যে তুমি যেরকম ঐ ব্যাক্তিকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালোবাসো ঠিক তদ্রূপ আল্লাহ ও তোমাকে সেরকম ভালোবাসেন। (৷ উক্ত ঘটনা বলেছেন) বিশ্ব নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর থেকে আমরা শিখলাম কাউকে ভালোবাসতে হলে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভালোবাসবো। আর কাউকে ঘৃণা করলে ও আল্লাহর

ফেরেস্তা গ্রামের লোকটাকে কি বললো ?? মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

এক ব্যাক্তি নিজের গ্রাম থেক অন্য গ্রামে গিয়েছিলো। শুধু মাত্র নিজের বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য। আল্লাহ তায়ালা তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেস্তা নিযুক্ত করে দেন, ঐ ব্যাক্তি যখন নিজের বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরতেছিলো হঠাৎ রাস্তার মাঝে এক ব্যাক্তির সাথে দেখা! সে অপরিচিত ব্যাক্তিটি জিজ্ঞেস করলো তুমি কোথায় গিয়েছিলে? এই ব্যাক্তি উত্তরে বললো আমি অমুক গ্রামে গিয়েছি আমার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য । অপরিচিত ব্যক্তিটি জিজ্ঞেস করলো কেন তোমার উপর তার কি কোনো এহসান দয়া আছে নাকি যার দরুন তুমি সাক্ষাৎ করতে গেলে ? এই ব্যাক্তি বললো না কোনো এহসান বা দয়া নাই একমাত্র শুধু আল্লাহর জন্য তাকে ভালো বাসি এজন্য তার সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি তখন অপরিচিত ব্যক্তিটি বললো আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেস্তা তোমার জন্য এই সুসংবাদ নিয়ে এসেছি যে তুমি যেরকম ঐ ব্যাক্তিকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালোবাসো ঠিক তদ্রূপ আল্লাহ ও তোমাকে সেরকম ভালোবাসেন। (৷ উক্ত ঘটনা বলেছেন) বিশ্ব নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর থেকে আমরা শিখলাম কাউকে ভালোবাসতে হলে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভালোবাসবো। আর কাউকে ঘৃণা করলে ও আল্লাহর

ডাইনির খপ্পরে মুছির ছেলে ? মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

এক দেশে এক রাজা ছিলো, তার একটি কন্যা ছিলো। তার বিবাহের বয়স অনেক কিন্তু রাজকন্যার বিবাহ সে কারো সাথে দিতে চাইতোনা।কারন সে ভাবতো তার সমান কোনো রাজা নেই, এই পাগলামির কারনো সে বড় বড় অনেক রাজার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতো। হঠাৎ সে দেশে একদিন প্রচন্ড ঝড় তুফান শুরু হলো বাতাসের গতি এত তীব্র ছিলো যে রাজার সুরক্ষিত ঘরের চাদে এক নেংটি পরা মুচির ছেলেকে তুলে রেখে দিলো। ঝড় থামার পর সেই ছেলেকে দেখে সবাই অবাক!!!! এত সংরক্ষিত সিঁড়ি বিহীন চাঁদে তো কোন সাধারণ মানুষ সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়, রাজা সকল পন্ডিতদের ডেকে তার রহস্য উদ্ঘাটন করার আদেশ জারি করলেন। পন্ডিতরা অনেক চিন্তা গবেষণা করে উত্তর দিলো যে এটা এক গায়েবি মানুষ। রাজকন্যার সাথে বিবাহের জন্য তাকে আসমান থেকে পাঠানো হয়েছে। যখন দৃশমান এ জগতে কোনো যোগ্য পাত্র পাওয়া যায়নি তাই তাকে গায়েবি জগৎ থেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘোষণা রাজার পছন্দ হয়েছে, তখন রাজা হুকুম দিলেন তাকে গরম পানিতে চন্দনের পানি দিয়ে গোসল করাও, যখন গোসল করানোর জন্য সবাই ধরলো তখন সে চিৎকার দিতে লাগলো। রাজা পন্ডিতদের জিজ্ঞেস করলো চিৎকার করতেছে কেন, তাঁরা বললো সে আলমে গায়বের মানুষ এখনো আমাদের এ জগতের স

আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কেমন ছিলো -ঃ মাও. ইব্রাহীম আজিজি

খৃষ্টানরা মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য যে সকল শাখাগত মাসআলা উত্থাপন করেছিলো। তা বুঝানোর জন্য একটা মাসআলা পেশ করেছি। কথিত আছে যে, একটি সু পরিকল্পিত মিশন নিয়ে একজন খৃষ্টান পাদ্রী এক মাওলানা সাহেবের কাছে উপস্থিত হয়ে হাদিয়া সরুপ তাকে কিছু আশ্রাফি দিলো তারপর সে মাওলানা সাহেবের গভীর ইলেম ও দ্বীনি খেদমতের তারিফ করলো। তারপর সে বললো হযরত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা জিজ্ঞেস করার জন্য আপনার কাছে এসেছি, আজ পর্যন্ত কোনো আলেম এর সমাধান দিতে পারেনি, আমি মনে করি আপনিই এর সমাধান দিতে পারবেন। মাসআলাটি হলো, আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ কি ছিলো? একটু আগে মাওলানা সাহেবের গভীর জ্ঞানের সীমাহীন প্রসংসা করা হয়েছে এবং সে আস্রাফি ভর্তি থলে ও পেয়েছে, এখন মৌলবি সাহেব কি ভাবে উত্তর না দিয়ে থাকতে পারেন।? তিনি অনুমান করে জবাব দিলেন, আসহাবে কাহফের কুকুরের রঙ সাদা ছিলো। খৃষ্টান পাদ্রী তখন তাকে খুব বাহবা দিয়ে বললো হযরত আপনি তো এরকম একটি মাসআলার সমাধান দিয়েছেন যা আজ পযর্ন্ত বহু বড় বড় আলেম ও দিতে পারেনি। সে আবার আরজ করালো হযরত বহু মানুষ এ মাসআলা সম্পর্কে জানে না আর এ না জানা অবস্থায় তারা দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে যাচ্ছে অ

রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন ততই উপকার।- মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

বর্তামানে বিশেষ করে তরুণ তরুণী যুবক যুবতীরা যে সমস্ত সমস্যায় জর্জরিত এবং রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সু-পরামর্শ। বর্তমানে চিকিৎসকগণ দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অনেক উপকারিতা বর্ণনা করেছেন ----------- (এক) রোগ প্রতিরোধ : তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ভালো থাকবে। ফলে শরীরের রোগব্যাধি প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। (দুই)ওজন নিয়ন্ত্রণ : পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। (তিন) উদ্যম : তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া মানুষকে কাজে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে সহায়তা করে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পর দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য যখন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা যাবে, তখন তত বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ হবে। এতে দিনে সহজে ক্লান্তিবোধ হবে না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যথাসম্ভব মাঝরাতের আগে ঘুমাতে যেতে হবে। (চার) মনের প্রফুল্লতা : যারা তাড়াতা

সারা রাত জাগ্রত থাকার কারণে মারাত্মক যে ৮ টি ক্ষতি হয়।মাও. ইব্রাহীম আজিজি

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লাগাতার  রাত জাগলে শরীর ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। যার ফলে এমন সব রোগ ঘাড়ে চেপে বসে যে আয়ু কমে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, মাত্রাতিরিক্তি খাওয়া-দাওয়া, সঙ্গে রাত জাগা লেজুড় হলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে। তাই শরীরের এসব মারাত্মক ক্ষতি থেকে  বাঁচতে হল এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।  রাত জাগার ফলে শরীরের যে ৮টি মারাত্মক ক্ষতি হয়:   ১.উচ্চ রক্তচাপ: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে টানা ২-৩ দিন ঠিক করে না ঘুমলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। আর এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত যদি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা না যায়, তাহলে শরীরের যে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ২.ওজন বাড়ে:  ২০১৪ সালে হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে টানা কয়েকদিন ৬ ঘন্টার থেকে কম সময় ঘুমালে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কারণ ঘুম কম হলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিদে বাড়তে থাকে।যার ফলে হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি হওয়ার আশংকা থাকে।  ৩. ব্রেনের পাওয়ার কমে: আমরা যখন ঘুমোই তখন আমাদের মস্তিষ্ক নিজেকে রিজুভি

তাবিজ, মাধুলী লটকানো সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?? - মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

ইসলামে কয়েক প্রকার তাবিজ জায়েজ নয়। যথা- ১-কুরআন হাদীস দ্বারা  ঝাড়ফুক দেয়া ছাড়া শুধু তামা, পিতল বা লোহা দ্বারা তাবিজ বানিয়ে লটকিয়ে রাখা। অর্থাৎ শুধু এগুলো লটকানো দ্বারাই রোগমুক্ত হয়ে যাবে বিশ্বাস করে তা লটকানো সম্পুর্ন  নাজায়িজ। ২-এমন তাবিজ যাতে আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত, দুআয়ে মাসূরা ব্যতিত শিরকী কথা লিপিবদ্ধ থাকে। ৩-তাবীজকে মুয়াসসার বিজজাত তথা তাবীজ নিজেই আরোগ্য করার ক্ষমতার অধিকারী মনে করে তাবিজ লটকানো। এ বিশ্বাস জাহেলী যুগে ছিল, বর্তমানেও ইসলাম সম্পর্কে কিছু অজ্ঞ ব্যক্তিরা তা মনে করে থাকে। ৪-যে কালামের অর্থ জানা যায় না এমন শব্দ দ্বারা তাবিজ লেখা। ৫-আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় তাবিজ লেখা। এ সকল সুরতে সর্বসম্মত মতানুসারে নাজায়িজ ও হারাম এবং শিরক। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে তা অবশ্যই জায়িজ। একে নাজায়িজ ও শিরক বলা মুর্খতা বৈ কিছু নয়। কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়। যেমন ডাক্তার প্রদত্ত ঔষদের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত আল্লাহকে মনে করার কারণে তা নাজায়িজ নয়। যদি