সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাও. রুহুল আমিন সাহেব রহঃ এর অজানা কাহিনী- মাও. ইব্রাহীম আজিজি



সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনের তেজদ্বীপ্ত স্পৃহা আর কঠোর পরিশ্রম
অর্জিত ইলেমকে যদি কর্মের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায় তবে সে জীবন সার্থক ও ধন্য।
হযরত মাওলানা রুহুল আমিন সাহেব রহঃ ছিলেন এমনই এক সার্থক ও ধন্য জীবনের অধিকারি এক মহাপুরুষ।
জন্ম ও পরিচয়।
রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরিকত হযরত মাওলানা রুহুল আমিন সাহেব রহঃ আনুমানিক ১৯২৩ ইং সালে ফেনী জেলার সুনামধন্য লেমুয়া ইউনিয়ন ধর্মপুর গ্রামে, এক সম্ভ্রান্ত পরিবার এবং এক খোদাভীরু আলেম মাওলানা খলিলুর রহমানের ওরশে জন্ম গ্রহণ করেন।

শিক্ষাকাল
শিশু রুহুল আমিন দ্বীনি শিক্ষার প্রতি অত্যান্ত অনুরাগী ছিলাম যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষা স্থানীয় মিয়াজি সাহেবের নিকট করলেও পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করার নিমিত্তে সোনাগাজি বক্তার মুন্সি মাদ্রাসায় ভর্তি হন সেখানে অত্যান্ত কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন, এরপর সোনাগাজি ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন,
কর্মকাল
পড়া লেখা সমাপ্তি করে তখনকার যুগশ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন ওলিকুলের শিরোমণি পটিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হজরত মাওলানা মুফতি আজিজুল হক সাহেবের সোহবতে গিয়ে নিজের ঈমান আক্বিদা ও আত্মার পরিশুদ্ধি করেন অতঃপর হযরতের হুকুমে নিজের পাশের গ্রামে রহিম পুর আরাবিয়া মাদ্রাসায় সর্বপ্রথম শিক্ষা দানের কাজে নিয়োজিত হন।
সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ তালিম তারবিয়ত ও খেদমত সুনামের সাথে আঞ্জাম দেন,
পরবর্তীতে নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ধর্মপুর দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা,
মৃত্যু পর্যন্ত উক্ত মাদ্রাসায় এলমে ওহীর বানী প্রচার করছেন, যাঁর মেহনতের ফলে আজ হাঁটি হাঁটি পাঁ পাঁ করে মাদ্রাসাটি সুনামের সাথে আজঅবদি ইলেম ওহির খেদমত দিয়ে যাচ্ছে। শত শত আলেম ওলামা মুফতি মুহাদ্দিস তৈরি হয়ে দেশ বিদেশে সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে খেদমতে নিয়োজিত আছে।
এই মনিষী ইলমে জাহেরির পাশাপাশি আদ্ধাতিক জ্ঞান গরিমায় ও ছিলেন অনন্য, তার প্রথম শায়েখ মুফতি আজিজুল হক সাহেব রহঃ এর এন্তাকালের পর তৎকালীন যুগের আরেক নক্ষত্র জাতির রাহবর কুতুবুল আলম হযরত শাহ সোলতান আহমাদ নানু পুরি রহঃ এর হাতে বাইআত হয়ে সবক আদায়ের মাধ্যমে রিয়াযত মুজাহাদা করেন, এবং মৃত্যু পর্যন্ত সমাজ থেকে বেদআত শিরিকের মূলোৎপাটন করে সমাজে সুন্নতের আমল এবং হক্ব আক্বিদা বাস্তবায়নে ছিলেন নজির বিহীন , এবং শেষ বয়সে ও কোনো অন্যায় দেখে চুপ থাকতেন না।
হযরতের একটা প্রসিদ্ধ উক্তি ছিলো লাঠির দ্বারা ফয়সালা হবে
কেরামত।
হক্কানি ওলি-আউলিয়াদের কারামাত সত্য
যা কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমানিত।
আমি ( মোঃ ইব্রাহিম) একদিন
বর্তমান মুহতামিম হযরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব দাঃবাঃ এর সোহবতে থাকাকালীন হযরত মাদ্রাসার বিভিন্ন দিক আলোচনার মাঝে বলেন,
নিজের অবিজ্ঞাতার কথা, যে একদিন ভাদাদিয়া মাদ্রাসার মাহফিলে মরহুম হজরত সহ আরো অনেকে সেখানে ছিলেন, সকলের ধারণা তিনি মাদ্রাসায় ( ভাদাদিয়া) থেকে গিয়েছেন কারণ তিনি ঐ রাতে মাদ্রাসায় ( ধর্মপুর) ছিলেন না । ফজরের নামাজের সময় হঠাৎ জামাতে শরিক হলেন, উপস্থিত সকলেই আশ্চর্য?? কারণ তারা খোঁজ নিয়ে দেখলেন হজরত রাতে বাড়িতে ও ছিলেন না,আর এত রাতে ভাদাদিয়া থেকে পাঁয়ে হেটে ও নদী পার হয়ে আসা ও সম্ভব নয়, বিষয় টা সকলকে হতবাক করে দিলো,
হুজুর ( মাও. ইলিয়াস সাহেব) বলেন তারপর ও আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে,
একদিন যখন ভাদাদিয়া যাই তখন বিষয়টি নিয়ে মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের সাথে আলোচনা করলে উনি বলেন আমি সয়ং নিজে তাঁকে ভোর রাতে এখানেই দেখেছি কিন্তু ওখানে কিভাবে গেলো??
তখনই বুঝতে পারলাম আল্লাহর খাছ ওলিদের থেকে এভাবেই কারামত প্রকাশ পায়।
এই মহান মনিষী ১৯৮৮ ইং সালে কালের আবর্তনে বাস্তবতার তাগিদে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে রফিকে আলার সান্যিদ্ধে চলে যান। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ডাইনির খপ্পরে মুছির ছেলে ? মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

এক দেশে এক রাজা ছিলো, তার একটি কন্যা ছিলো। তার বিবাহের বয়স অনেক কিন্তু রাজকন্যার বিবাহ সে কারো সাথে দিতে চাইতোনা।কারন সে ভাবতো তার সমান কোনো রাজা নেই, এই পাগলামির কারনো সে বড় বড় অনেক রাজার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতো। হঠাৎ সে দেশে একদিন প্রচন্ড ঝড় তুফান শুরু হলো বাতাসের গতি এত তীব্র ছিলো যে রাজার সুরক্ষিত ঘরের চাদে এক নেংটি পরা মুচির ছেলেকে তুলে রেখে দিলো। ঝড় থামার পর সেই ছেলেকে দেখে সবাই অবাক!!!! এত সংরক্ষিত সিঁড়ি বিহীন চাঁদে তো কোন সাধারণ মানুষ সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়, রাজা সকল পন্ডিতদের ডেকে তার রহস্য উদ্ঘাটন করার আদেশ জারি করলেন। পন্ডিতরা অনেক চিন্তা গবেষণা করে উত্তর দিলো যে এটা এক গায়েবি মানুষ। রাজকন্যার সাথে বিবাহের জন্য তাকে আসমান থেকে পাঠানো হয়েছে। যখন দৃশমান এ জগতে কোনো যোগ্য পাত্র পাওয়া যায়নি তাই তাকে গায়েবি জগৎ থেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘোষণা রাজার পছন্দ হয়েছে, তখন রাজা হুকুম দিলেন তাকে গরম পানিতে চন্দনের পানি দিয়ে গোসল করাও, যখন গোসল করানোর জন্য সবাই ধরলো তখন সে চিৎকার দিতে লাগলো। রাজা পন্ডিতদের জিজ্ঞেস করলো চিৎকার করতেছে কেন, তাঁরা বললো সে আলমে গায়বের মানুষ এখনো আমাদের এ জগতের স

রাতে যত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন ততই উপকার।- মাওলানা ইব্রাহীম আজিজি

বর্তামানে বিশেষ করে তরুণ তরুণী যুবক যুবতীরা যে সমস্ত সমস্যায় জর্জরিত এবং রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য সু-পরামর্শ। বর্তমানে চিকিৎসকগণ দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অনেক উপকারিতা বর্ণনা করেছেন ----------- (এক) রোগ প্রতিরোধ : তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ভালো থাকবে। ফলে শরীরের রোগব্যাধি প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। (দুই)ওজন নিয়ন্ত্রণ : পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। (তিন) উদ্যম : তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া মানুষকে কাজে উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে সহায়তা করে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পর দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য যখন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা যাবে, তখন তত বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ হবে। এতে দিনে সহজে ক্লান্তিবোধ হবে না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য যথাসম্ভব মাঝরাতের আগে ঘুমাতে যেতে হবে। (চার) মনের প্রফুল্লতা : যারা তাড়াতা

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানরা (৩) ইব্রাহীম আজিজি

হে কাওমীর মেধাবী সূর্য সন্তানারা! তোমরা যেভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, তাবলীগ, পীর, মুরিদি,রাজপথ সহ ইত্যাদি জায়গা গুলোতে তোমাদের অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক তেমনি বর্তমান ইন্টারনেট জগতে চাই তোমাদের অগ্রনি ভুমিকা, কিন্তু অন্য সাধারন আট দশজনের মত নেট জগতে ডুকে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিলে চলবে না, নিজের শান মান ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি নিজের বা বন্ধু বান্ধবের ছবি পোস্ট করলে চলবেনা, নিজের হাসি তামাশা বা অযথা সময় পার করার জন্য তুমি fb ব্যবহার করবেনা, সাথে সাথে বেহায়াপনা, নোংরামি গান নাচ ইত্যাদি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার থেকে বেচে থাকাটাই তোমার ঈমানি পরীক্ষা। তাছাড়া যখনই তুমি fb তে ডুকবে তখনই দেখবে একটা দল তোমার ইতিহাস তোমার ঐতিহ্য নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতেছ, তোমার প্রানপ্রিয় উস্তাদদের নিয়ে বেঙ বিদ্রুপে মগ্ন, তোমার সেরে তাজ যাদের তুমি আকাবের মনে করো, যাদের তুমি তোমার চলার পথের পাথেয় মনে করো, যাদের জীবন কাহীনি অধ্যায়ন করে তুমি রাতকে রাত অতিবাহিত করো,যাদের জিবন থেকে তোমার সামনের পথ চলার দীক্ষা নিয়েছো, যাদের ইলেম থেকে নিজের ইলেমের প্রান সঞ্চার করেছো,যাদের ইলেম থেকে পুরো জাতিই উপকৃত হয়েছে, আজ কিছ